Ads

হিন্দুধর্ম

মধ্য এশিয়া থেকে আর্যরা প্রাচীন ভারতে যে ধর্মীয় ভাবধারা নিয়ে এসেছিল, তা থেকেই হিন্দু ধর্মের সৃষ্টি। নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি এ ধর্ম প্রবর্তন করেনি। বহুকাল থেকে আজ পর্যন্ত এ ধর্ম চলে আসছে বলে একে ‘সনাতন ধর্ম’ও বলা হয়। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী যুগ চারটি যথা- সত্য যুগ, ত্রেতা যুগ, দ্বাপর যুগ ও কলি যুগ। সত্য যুগের এক রাজা ছিলেন মান্ধাতা। অবতার শ্রীকমষ্ণের আবির্ভাব ঘটে দ্বাপরযুগে। শ্রীকৃষ্ণের পিতা ছিলেন বাসুদেব। কলিযুগের একজন অবতার ছিলেন শ্রীচৈতন্য। তিনি বৈষ্ণব ধর্মমত প্রচার করেন।

মূলনীতিঃ কর্মফল ও জন্মান্তরবাদ হিন্দু ধর্মবিশ্বাসের প্রধান অঙ্গ। কর্মফল ও জন্মান্তরবাদের মূলকথা হচ্ছে মামুষ নিজের কর্মদোষে বা কর্মগুণে অনুন্নত বা উন্নত জীবন নিয়ে বারবার পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে।

ধর্মগ্রন্থঃ সংস্কৃত ভাষায় রচিত ‘বেদ’ হিন্দুদের আদি এবং প্রধান ধর্মগ্রন্থ। বেদের অন্য নাম শ্রুতি। ‘বেদ’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ জ্ঞান। বেদ মোট ৪ টি। উপনিষদ, গীতা, পুরাণ, রামায়ণ ও মহাভারতকেও হিন্দুরা পবিত্র ধর্মগ্রন্থ হিসাবে সম্মান করে। উপনিষদের মূল উদ্দেশ্য ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করা। উপনিষদ বারো প্রকার। গীতা হচ্ছে মহাভারতের অন্তর্ভুক্ত। দেবী সরস্বতী হচ্ছেন বিদ্যার প্রতীক। দেবী সরস্বতীর বাহন ছিল হংস।

উপাসনালয় ও তীর্থস্থানঃ কাশী, গয়া, বৃন্দাবন, সীতাকুণ্ড প্রভৃতি হিন্দুদের তীর্থস্থান হিসেবে সমধিক পরিচিত। হিন্দুদের উপাসনালয়কে মন্দির বলে। পৃথিবীর বৃহত্তম মন্দির এঙ্করভাট যা কম্বোডিয়াতে অবস্থিত।

Comments

Ads

Related Topics