Ads

সরকারি চাকরির ভাইভা প্রস্তুতিঃ আলোচিত ব্যক্তিবর্গ

হযরত ইব্রাহিম (আঃ)
জন্মঃ পশ্চিম ইরাকের বসরার নিকটবর্তী বাবেল শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
☞ ইসলামে তার কার্যক্রমকে স্মরণ করে ইদুল আযহা পালিত হয়।
☞ ইব্রাহিম (আঃ) ও তার শিশুপুত্র ইসমাইল কুরবানি ও হজ্জের বিধান চালু করেন।
☞ পিতার নাম আজর
☞ স্ত্রীর নাম হাজেরা ও সারাহ
☞ দুই পুত্র সন্তান ছিলঃ  ইসমাইল ও ইসহাক। মতান্তরে তৃতীয় স্ত্রী কান্তুরাহের গর্ভে আরো ৬ জন পুত্র ছিল।
☞ হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর নামে পবিত্র কোরআনে সুরা ইব্রাহিম নাযিল হয় (১৪ নং সুরা, ৫২ টি আয়াত))
☞ ইব্রাহিম (আঃ) এর বংশ তালিকাঃ
ইমাম তাবারীর মতেঃ নূহ ⇨ সাম ⇨ আরফাখশাদ ⇨ কেনান ⇨ শালেখ ⇨ আবির ⇨ ফালেগ ⇨ আরগু ⇨ সারুগ ⇨ নাহুর ⇨ তারেহ (আযর) ⇨ ইব্রাহিম (আঃ)

ইমাম ইবনে কাসীর এর মতেঃ নূহ ⇨ সাম ⇨ আরফাখশায ⇨ শালেহ ⇨ আবির ⇨ ফালিগ ⇨ রাঊ ⇨ সারুগ ⇨ নাহুর ⇨ তাসারুখ ⇨ ইব্রাহিম (আঃ)

☞ কোনো ইসলামি পণ্ডিতের মতে, তিনিই প্রথম মিসওয়াক করে, প্রস্রাব সেরে পানি দ্বারা পরিষ্কার হন। সর্বপ্রথম তার মাথার চুল পেকে সাদা হয়। তিনিই সর্বপ্রথম খৎনা করেন এবং তার বংশধরদের তা করতে উৎসাহিত করেন।

ড. মোহাম্মদ ইব্রাহিম 
বারডেম হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা

নওগাঁ জেলার আলোচিত ব্যক্তিবর্গ
মোহাম্মদ আব্দুল জলিল
জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৯ সালের ২১ জানুয়ারি নওগাঁ জেলার সদর উপজেলার চকপ্রাণ গ্রামে।
মৃত্যুঃ ২০১৩ সালের ৬ মার্চ
☞ বাবার নাম ফয়েজউদ্দিন আহমেদ।
☞ মাতার নাম জারিনা ফায়েজ
☞ তিনি ছিলেন একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী।
☞ মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আবদুল জলিলকে উত্তরাঞ্চলের জেনারেল হিসাবে আখ্যায়িত করেন।
☞ নওগাঁ শহরের উত্তর-পশ্চিম পার্শে আবদুল জলিল চত্বরে তার প্রচেষ্টায় নির্মিত হয় বিজয় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ। ৭১ ফুট উচু এই স্মৃতিস্তম্ভ ১৯৭১ এর স্মৃতি বহন করে।
☞ তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
☞ ১৯৯৬-২০০১ আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি কয়েক বছর সরকারের বানিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
☞ ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নওগাঁ-৫ আসন থেকে বিজয়ী হন।

জাকারিয়া পিন্টু
☞ জন্মগ্রহণ করেন নওগাঁয় ১৯৪৩ সালের ১ জানুয়ারি।
☞ স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দলের প্রথম অধিনায়ক ছিলেন।
☞ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে একজন ফুটবল যোদ্ধার ভূমিকা পালন করেছিলেন।
☞ ১৯৯৫ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ক্রীড়া বিভাগে স্বাধীনতা পুরস্কার অর্জন করেন।
☞২০২৪ সালের ১৮ নভেম্বর মারা যান।

জেমস (ফারুক মাহফুজ আনাম)
☞ একজন বাংলাদেশী গায়ক, গীতিকার, গিটারিস্ট, সুরকার এবং অভিনেতা।
☞ তিনি রক ব্যান্ড "ফিলিংস" (বর্তমানে নাগর বাউল নামে পরিচিত) এর প্রধান গায়ক, গীতিকার ও গিটারিস্ট, যা তিনি ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন।
☞ জেমস নওগাঁয় জন্মগ্রহণ করেন এবং বেড়ে ওঠেন চট্টগ্রাম শহরে।

মোহাম্মদ বাইতুল্লাহ
☞ বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা রাজনীতিবিদ।
☞ তিনি ১৯৭২ (১২ নভেম্বর) থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ১ম ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
☞ তিনি ১৯২৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নওগাঁ জেলার শালেবাজ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
☞ তিনি ১৯৪৩ সালে কীর্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন।
☞ ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক বাকশাল গঠন করা হলে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির ৩৫ নং সদস্য হিসেবে তাতে অন্তর্ভুক্ত হন।

কবি তালিম হোসেন
(জন্ম: ২৯ অক্টোবর ১৯১৮ – মৃত্যু: ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯)
তালিম হোসেন ছিলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট কবি, অনুবাদক, সাহিত্য সম্পাদক ও সংগঠক। তিনি বাংলা সাহিত্যে ইসলামি আদর্শ, ঐতিহ্য ও মূল্যবোধ তুলে ধরেছেন এবং নজরুল চর্চার প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

জন্ম ও শিক্ষা:
তালিম হোসেন নওগাঁ জেলার বদলগাছির চাকরাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী কলেজ, করটিয়া সা’দত কলেজ ও কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে পড়াশোনা করেন।

সাহিত্যকর্ম:
তালিম হোসেনের সাহিত্যকর্মে ইসলামি মূল্যবোধ ও মানবতাবাদী চেতনার ছাপ রয়েছে। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ:
☞ দিশারী (১৯৫৬)
☞ শাহীন (১৯৬২)
☞ নূহের জাহাজ (১৯৮৩)
☞ ইসলামী কবিতা সংকলন (১৯৮২)
☞ ধাইকিড়ি ধাইকি (শিশুদের জন্য ছড়া, ১৯৮১)

অনুবাদ সাহিত্য:
☞ স্বর্গচরণ (জন স্টাইনবেকের উপন্যাস, ১৯৫৯)
☞ দানবীর এন্ড্রু কার্নেগী (জীবনী, ১৯৬২)

পেশাগত জীবন ও সংগঠন:
তিনি "মাহে নও" পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। ১৯৬৪ সালে তিনি নজরুল একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন এবং নজরুল চর্চার উন্নয়নে নেতৃত্ব দেন।

পুরস্কার ও সম্মাননা:
তালিম হোসেন তার সাহিত্যকর্মের জন্য বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন:
☞ বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৫)
☞ সিতারা-ই-ইমতিয়াজ (১৯৭২)
☞ একুশে পদক (১৯৮২)
☞ বাংলা সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮২)
☞ নজরুল একাডেমি পুরস্কার (১৯৯৩)

ব্যক্তিগত জীবন:
তিনি ১৯৪৮ সালে মাফরুহা চৌধুরীকে বিয়ে করেন। তাদের তিন কন্যা—শবনম মুশতারী, পারভীন মুশতারী ও ইয়াসমিন মুশতারী (নজরুল সঙ্গীত শিল্পী)। দুই পুত্র—শাহরিয়ার চৌধুরী (কম্পিউটার বিজ্ঞানী) ও হাসনাইন চৌধুরী (বিমানচালক)।

মৃত্যু:
তিনি ১৯৯৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

_________________________________________
রাজাশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত ব্যক্তিবর্গ
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
(জন্ম: ১৫ জানুয়ারি ১৯৪৮)
ড. মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব একজন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ, গবেষক, লেখক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন আরবি বিভাগের অধ্যাপক। তিনি আহলে হাদীস আন্দোলন বাংলাদেশ (AHAB)-এর প্রতিষ্ঠাতা ও আমীর।

শিক্ষা ও পেশাগত জীবন:
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি ভাষা ও সাহিত্যে বিএ (অনার্স), এমএ এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগে অধ্যাপনার দায়িত্ব পালন করেন।

গবেষণা ও সাহিত্যকর্ম:
ড. গালিব ইসলামি সাহিত্য ও গবেষণায় ব্যাপক অবদান রেখেছেন। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ:
☞ তাফসিরুল কুরআন
☞ তারজামাতুল কুরআন
☞ সীরাতুর রাসূল (সা.)
☞ সালাতুর রাসূল (সা.)
☞ Ahlehadith Movement: its Origin and Development with Special Reference to the South Asian Region (পিএইচডি থিসিস)

প্রতিষ্ঠিত সংগঠনসমূহ:
তিনি ইসলাম প্রচার, শিক্ষা ও সমাজকল্যাণমূলক বহু সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছেন, যেমন:
☞ আহলে হাদীস আন্দোলন বাংলাদেশ (AHAB) – ১৯৯৪
☞ বাংলাদেশ আহলে হাদীস যুব সংঘ – ১৯৭৮
☞ বাংলাদেশ আহলে হাদীস মহিলা সংস্থা – ১৯৮১
☞ হাদীস ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ – ১৯৯২
☞ তাওহীদ ট্রাস্ট – ১৯৮৯
☞ সালাফিয়া ট্রাস্ট – ২০০২
☞ ইসলামিক কমপ্লেক্স – ২০১০
☞ মাসিক আত-তাহরীক – ১৯৯৭
☞ সোনামণি – ১৯৯৪
☞ পথের আলো ফাউন্ডেশন – ২০০৯

২০০৫ সালের গ্রেপ্তার ও মুক্তি:
২০০৫ সালে ড. গালিবকে জঙ্গিবাদের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং ২০০৮ সালে জামিনে মুক্তি পান। পরবর্তীতে আদালত থেকে তিনি সকল অভিযোগে খালাসপ্রাপ্ত হন।

ব্যক্তিগত জীবন:
তার স্ত্রী তাহিরুন্নেসা এবং তাদের চার সন্তান:
☞ ড. তামান্না তাসনিম
☞ ড. আহমদ আবদুল্লাহ সাকিব
☞ ড. আহমদ আবদুল্লাহ নাজিব
☞ আহমদ আবদুল্লাহ শাকির

ড. সৈয়দ মুহম্মদ শামসুজ্জোহা
ড. সৈয়দ মুহম্মদ শামসুজ্জোহা (১ মে ১৯৩৪ – ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯) ছিলেন একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ছিলেন। ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের সময় তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিতে শহীদ হন, ফলে তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম শহীদ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হিসেবে চিহ্নিত হন।

জন্ম ও শিক্ষা: তিনি পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বাঁকুড়া জেলা স্কুল ও বাঁকুড়া খ্রিষ্টান কলেজে পড়াশোনা শেষে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে পিএইচডি ও ডিআইসি ডিগ্রি লাভ করেন।

কর্মজীবন ও শাহাদাত: তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন এবং প্রক্টর ও হল প্রাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি, ছাত্রদের বাঁচাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সামনে দাঁড়িয়ে গুলিবিদ্ধ হন এবং শহীদ হন।

স্মরণ ও সম্মান: তার স্মৃতিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে “শহীদ শামসুজ্জোহা হল” প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকার তাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করেছে (২০০৮)।

আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান
আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে তিনি মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং জাতীয় রাজনীতিতে বিশেষ প্রভাব রাখেন। তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের শিকার হন এবং পরবর্তীতে ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত হন।

Comments

Ads