ভাব-সম্প্রসারণ
ভাব-সম্প্রসারণ
ভাব-সম্প্রসারণ কথাটির অর্থ কবিতা বা গদ্যের অন্তর্নিহিত তাৎপর্যকে ব্যাখ্যা করা, বিস্তারিত করে লেখা, বিশ্লেষণ করা। আবৃতকে উন্মোচন, সংকেতকে নির্ণীত করে তুলনীয় দৃষ্টান্ত ও প্রবাদ-প্রবচনের সাহায্যে সহজ ভাষায় ভাবের বিন্দুকে বিস্তার করার নাম ভাব-সম্প্রসারণ।
* ভাব-সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে কয়েকটি দিকের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। যেমনঃ
ক. প্রদত্ত চরণ বা গদ্যাংশটি একাধিকবার মনোযোগ সহকারে পড়ে অন্তর্নিহিত ভাবটি কী, তা সঠিকভাবে বুঝতে হবে। মূল ছত্রটি হুবহু ব্যবহার করা উচিত নয়।
খ. অন্তর্নিহিত মূলভাবটি যদি কোনো উপমা, রূপক-প্রতীকের আড়ালে প্রচ্ছন্ন থাকে, তবে ভাব-সম্প্রসারণের সময় প্রয়োজনে অতিরিক্ত অনুচ্ছেদ-যোগে ব্যাখ্যা করলে ভালো হয়।
গ. সহজ ভাষায়, সংক্ষেপে ভাবসত্যটি উপস্থাপন করা উচিত। প্রয়োজনে যুক্তি উপস্থাপন করে তাৎপর্যটি উদ্ধার করতে হবে।
ঘ. মূল ভাব-বীজকে বিশদ করার সময় সহায়ক দৃষ্টান্ত, প্রাসঙ্গিক তথ্য বা উদ্ধৃতি ব্যবহার করা চলে।
ঙ. ভাব-সম্প্রসারণ করার সময় মনে রাখতে হবে যে, যেন বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি না ঘটে। বারবার একই কথা লেখা ভাব সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে দূষণীয়।
চ. ভাব-সম্প্রসারণকে প্রধানত তিনটি অংশে বিভক্ত করা যায়। যথাঃ প্রথম অংশে ভাবের অর্থ, দ্বিতীয় অংশে ভাবের ব্যাখ্যা, তৃতীয়,অংশে ভাবের তাৎপর্য।
ছ. ভাব-সম্প্রসারণ করার সময়ে প্রত্ত অংশের রচয়িতার নাম উল্লেখ করতে হয় না।
জ. প্রয়োজনে সংকৃঢিপৃত উদ্ভৃতি ব্যবহার করা যেতে পারে।
Comments